প্রকাশের সময়: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫ । ৮:৪৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ধোবাউড়ায় সোনালী ব্যাংকে গ্রাহকের লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও : ম্যানেজারের যোগসাজশে টাকা নিয়ে পালিয়েছে ঝাড়ুদার

স্টাফ রিপোর্টার।।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ধোবাউড়া শাখায় গ্রাহকের একাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকের বর্তমান ম্যানেজার এর যোগসাজশে গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়েছে ঝাড়ুদার। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

জানা যায়, সোনালী ব্যাংক ধোবাউড়া শাখায় ধোবাউড়া সদর গ্রামের শাহিন আলম দীর্ঘদিন ধরে ঝাঁড়দারের চাকরী করছেন। কিন্তু বর্তমান ম্যানেজার রুহুল আমিন যোগদানের পর ঝাঁড়ুদার শাহীন আলমকে ম্যানেজারের পাশেই চেয়ার টেবিল দিয়ে বসিয়ে দেন। আর এতে শাহীন আলম বনে যান একজন কর্মকর্তা। গ্রাহকরা ম্যানেজারের কাছে কোন কাজে গেলে তিনি শাহিনের কাছে পাঠিয়ে দেন। এভাবে শাহিন বড় অফিসার বনে গিয়ে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করা শুরু করেন। কিছুদিন পূর্বে জনতা ব্যাংক ধোবাউড়া শাখার পোড়াকান্দুলিয়ার হরিদাস এর পাঁচ লক্ষ টাকার

একটি চেক সোনালী ব্যাংকে কালেকশনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার তা শাহিনের মাধ্যমে অন্য একাউন্টে কালেকশন করে দেন। কিন্তু গ্রাহক টাকা পায়নি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এদিকে সোমবার সকালে ধোবাউড়া উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিন বোন মদিনা, মর্জিনা এবং খালেদা আক্তার তাদের নামে ৫ লক্ষ টাকা করে সঞ্চয়পত্র জমার বিষয়টি চেক করতে যান ব্যাংকে।

কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে দেখেন তাদের একাউন্ট ফাঁকা। কোন টাকা জমা নেই। তারা জানান, ২০২৩ সালে তারা তিন বোন পাঁচ বছর মেয়াদি তিনটি সঞ্চয়পত্র জমা করেন। বর্তমান ম্যানেজার রুহুল আমিন এর কাছে গেলে এই তিন বোনকে শাহিনের কাছে পাঠান ম্যানেজার। শাহীন তাদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে টাকা জমা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। টাকা জমা দেওয়ার পর তিন বোন তাদের লভ্যাংশের টাকাও উত্তোলন করেছেন। কিন্তু সোমবার সকালে ব্যাংকে গিয়ে দেখেন টাকা নেই। এ ঘটনা জানার পর চরম হতাশা বিরাজ করছে তাদের পরিবারের মাঝে। মর্জিনা আক্তারের ভাই আইনুল হক জানান, আমাদের সারাজীবনের সঞ্চয় এভাবে নিয়ে গেছে, আমার আম্মা খুবই হতাশায় ভোগছেন। দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথেও ঘটেছে এমন ঘটনা। ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকারও হদিস মেলেনি।

এভাবে গ্রাহকের লক্ষ লক্ষ টাকা উদাও হয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি ঘটনা সামনে আসার পর পালিয়েছে ব্যাংকের ঝাড়ুদার শাহীন। এই বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই ব্যাংক ম্যানেজার রহুল আমিনের। মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে সোনালী ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকজন গ্রাহক টাকার জন্য হট্টগোল করছেন। এব্যাপারে ব্যাংক ম্যানেজার রহুল আমিন জানান, তিনি এই বিষয়ে অবগত নন তবে ব্যাকেংর কেউ জড়িত থাকলে খতিয়ে দেখা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন গণমাধ্যম কে বলেন, তিনি বিষয়টি অবগত হয়েছেন এবং ম্যানেজারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল, প্রধান সম্পাদকঃ শিবলী সাদিক খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ জহির রায়হান,  বার্তাকক্ষঃ 75bdnews@gmail.com

প্রিন্ট করুন