ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩১নং ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদীয়ায় মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজিসহ অপরাধের স্বর্গরাজ্যে গড়ে তুলেছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া গংরা। যার ফলে এলাকার শিক্ষার্থীসহ পথভ্রষ্ট হচ্ছে উঠতি বয়সের যুবকরা। এর প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সমাজের সুশীল সমাজ।
মোঃ রাসেল মিয়ার নামে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা নং- ৪১/১২-০৮-২০১৫ ধারা ১৪৩/ ৩৪১/ ৪৪৭/ ৩২৩/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩৭৯/ ৫০৬/ ১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ এজাহারে অভিযুক্ত, ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা নং- ৬৮/২০-০২-২০১৫ ধারা ১৪৩/ ৪৪৭/ ৩৫৪/ ৩৭৯/ ৫০৬/ ১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০। কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা নং- ৭৮/৬৮১ তারিখ ২৭-০৮-২০২০ জিআর নং- ৬৮১, ধারা ৩৬(১) সারণির ১০ (ক)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮।
স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছে, মোঃ রাসেল মিয়া গংরা পারিবারিক ভাবেই মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে।
স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তার বাবা-মা বোনসহ পরিবারের সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তেড়ে আসে। বিশেষ করে পুরুষদের নিরাপদে রাখতে নারীরা সামনে থাকে।
সম্প্রতি রাসেল মিয়ার অপরাধমূলক বেপরোয়া কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে কোতোয়ালি মডেল থানায় মোঃ রাসেল মিয়া গংদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই কামরুল ইসলাম সরেজমিন তদন্ত করতে যায়।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোঃ লিখন (১১) কে মারধর করে অভিযুক্ত মোঃ রাসেল মিয়া গংরা। এতে ক্ষান্ত না হয়ে পরবর্তীতে দা নিয়ে অভিযুক্ত রাসেলের পরিবারের অপরাপর সদস্যরা বাদিকে মারতে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখা যায় ভিডিও চিত্রে।। যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এব্যপারে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।