ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে ব্যবসায়ী আহসান হাবিব নামের এক ব্যবসায়ীর ২৮ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে প্রতারক সানি গংরা।
মালামাল লুটের অভিযোগে ব্যবসায়ী আহসান হাবিবের পক্ষে তার স্ত্রী লুৎফুন্নাহার নিপু বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা অভিযোগ দায়ের করেছে। কোতোয়ালী থানা মামলা নং ৩২ তাং ১১-১২-২০২৪ ইং।
বাদীর অভিযোগে দুইজনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত নামা ৫ জন সহ ৭ জনকে আসামী করা হয়। নামীয় আসামীরা হলেন, ১/ বদরুদ্দোহা সানি (৩২), পিতা-মোঃ নুরুল হক, মাতামৃত-বিলকিস আক্তার, সাং- দুয়াইন, খানা ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-মযমনসিংহ, এপি/সাং-গজারিয়া পাড়া, থানা-গাজীপুর সদর, জেলা-গাজীপুর এর নেতৃত্বে ২/ মোছাঃ রিংকী আক্তার (৩০), পিতা-আব্দুল সামাদ, স্বামী মোঃ বদরুদোহা সানি, সাং-সাফরভা উয়াশী পাইকপাড়া, খানা-মির্জাপুর, জেলা-টাংগাইল, এপি/সাং-দুম্বাইল, খানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ।
বাদীর অভিযোগে জানাযায়,গত ০১/১২/২০২৪ ইং তারিখ রবিবার সকাল অনুমানিক সাত ঘটিকা কোতোয়ালী মডেল থানাধীন শম্ভুগঞ্জ নতুন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন আমাদের নিজস্ব বিল্ডিংয়ে ব্যবসায়ী আহসান হাবিব এর ডিলারশিপ পয়েন্ট থেকে মোঃ বদরুদ্দোহা সানি ও মোছাঃ রিংকী আক্তার গংরা ট্রাক নিয়ে এসে ৭০ কাটুন ওরস্যালাইন, যাহার মূল্য ১,৭৮,৫০০/- (এক লক্ষ আটাত্তর হাজার পাঁচশ) টাকা, ৪০ কার্টুন চকলেট, যাহার মূলা ৭২,০০০/- (বাহাত্তর হাজার) টাকা, ০১টি ফ্রিজ ৭ ০১টি বক্স খাট, যাহার মূল্য ৮৫,০০০/- (পচাশি হাজার) টাকা এবং নভেম্বর মাসের আমদানীর নগদ ২৫,০০,০০০/ (পচিশ লক্ষ) টাকা সহ সর্ব মোট ২৮.৩৫,৫০০/- (আটাশ লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়।
সেসময় আমার প্রতিবেশী মোঃ আবুল কালাম যাওয়ার সময় দেখিতে পায় যে, আমাদের ডিলারশিপ পয়েন্টের থেকে বিবাদী ১/ মোঃ বদরুদ্দোহা সানি (৩২) এর নেতৃত্বে ২/ মোছাঃ রিংকী আক্তার সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন ডিলারশিপ পয়েন্টের মালামাল ট্রাকে তুলতে দেখতে পায়। তিনি এগিয়ে আসলে বিবাদী গংরা লুট করা মালামাল সহ দ্রুত ট্রাকটি নিয়ে চলে যায়।
মামলার বাদী জানান, আমার স্বামী আহসান হাবিব (৪০) একজন ব্যবসায়ী। তিনি ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল খানাধীন শম্ভুগঞ্জ নতুন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন নিজস্ব বিল্ডিং এ বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলারশিপ নিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। ০১নং বিবাদী বিগত ৩ বছর পূর্বে আমাদের ডিলার পয়েন্টে ম্যানেজার হিসাবে যোগদান করেন এবং আমার স্বামীর ব্যবসায়িক নিয়ম মোতাবেক প্রতিমাসের হিসাব সম্পন্ন করেন। বিবাদীদ্বয় আমাদের ডিলারশিপের একটি রুমে ভাড়ায় বসবাস করেন। আমার স্বামী নভেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হইয়া হাসপাতালে ভর্তি থাকায় নভেম্বর মাসে ব্যবসার কোন খোজখবর নিতে পারননি।
এরই সুযোগে গত ০১/১২/২০১৪ ইং তারিখ রবিবার সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় আমাদের নিজেস্ব বিল্ডিং এর সামনে দিয়া আমার প্রতিবেশী মোঃ আবুল কালাম (৪৫), পিতামৃত-মতি মেম্বার, সাং-রাঘবপুর, থানা-কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ যাওয়ার সময় দেখতে পায় যে, আমাদের ডিলারশিপ পয়েন্টের সামনে ০১নং ও ০২নং বিবাদীদ্বয় অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সহায়তায় ট্রাক গাড়ীতে ডিলারশিপের মালামাল উঠাইতেছে। তখন আমার প্রতিবেশী আবুল কালাম আগাইয়া গেলে ০১নং ও ২নং বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা জনৈক আবুল কালামকে দেখিয়া ট্রাক গাড়ী সহ মালামাল নিয়া দ্রুত চলিয়া যায়। তখন আমার প্রতিবেশী আবুল কালাম আমার স্বামীকে জানাইলে আমার স্বামী সহ সাক্ষীরা ডিলারশিপ পয়েন্টে যাইয়া দেখে সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তখন আমার স্বামী ডিলারশিদ পয়েন্ট ভাল ভাবে পর্যাবেক্ষন করিয়া দেখে ৭০ কাটুন ওরস্যালাইন, যাহার মূল্য ১,৭৮,৫০০/- (এক লক্ষ আটাত্তর। হাজার পাঁচশ টাকা, ৪০ কার্টুন চকলেট, যাহার মূলা ৭২,০০০/- (বাহাত্তর হাজার) টাকা, ০১টি ফ্রিজ ৭ ০১টি বক্স খাট, যাহার মূল্য ৮৫,০০০/- (পচাশি হাজার) টাকা এবং নভেম্বর মাসের আমদানীর নগদ ২৫,০০,০০০/ (পচিশ লক্ষ) টাকা সহ সর্ব মোট ২৮.৩৫,৫০০/- (আটাশ লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা নাই। তখন আমার স্বামী ০১নং বিবাদীর মোবাইলে ফোন করিলে তাহার ফোন নম্বরটি বন্ধ পায়। ০১নং বিবাদী আমাদের ডিলারশিপের কর্মচারী হয়েও ০২নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সহায়তায় আমার স্বামীর সরলতা সুযোগ নিয়া অসাধুভাবে সর্ব মোট ২৮,৩৫,৫০০/- (আটাশ লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা আত্মসাৎ করতঃ প্রতারনা করিয়াছে। আমি উল্লেখিত ঘটনার আমার স্বামী সহ পরিবারের লোকজনদের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করেছি।
এব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ জানান, অভিযোগের বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পেয়েছি। এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোতোয়ালী থানার মামলা নং ৩২ তাং ১১-১২-২০২৪ ইং রুজু করা হয়েছে।