গাজীপুর সদর উপজেলায় সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থেকে জোরপূর্বক আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মেম্বার বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত রাজু সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি। আর মামুন শিকদার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
যুবলীগের নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন শিকদারকে ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ ও আহ্বায়ক সচিব রফিকুল ইসলাম রবিনের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়, যুবদল শাখার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদককে সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদল শাখায় লিখিত জবাব দিতে হবে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য যথাযথ জবাব প্রদান না করলে ভবিষ্যতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ জানান, ‘মামুন শিকদার সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এজন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি দলীয় হাইকমান্ডকে জানানো হয়েছে। যথাযথ জবাব প্রদান না করলে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক বাহার আলম জানান, ‘আওয়ামী লীগ নেতা রাজু আহমেদকে আটকের পর থানায় নিয়ে আসার সময় কিছু লোক গাড়ি থেকে জোরপূর্বক তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, আটক রাজু আহমেদ এজাহারনামীয় আসামি নন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।