২০২২-২৩ সালের অর্থ বছরে সরকার হতে উন্নয়ন এবং সংস্থাপন ব্যয় খাতে প্রাপ্তির প্রত্যাশায় ৮৩ কোটি টাকা এবং রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের নিজস্ব খাত থেকে প্রাপ্তির আশায় ৩ কোটি টাকাসহ সর্বমোট ৮৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পরিষদের এনেক্স ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুছাইন চৌধুরী, ঝর্ণা খীসা, ইলিপন চাকমা, বিপুল ত্রিপুরা, মোঃ আব্দুর রহিম, আসমা আকতার, মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সভাপতি, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব, সুশীল প্রসাদ চাকমা,সভাপতি,রাঙ্গামাটি রিপোর্টাস ইউনিটি. মিলটন বড়–য়া, সম্পাদক ও প্রকাশক সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় ও সভাপতি, পার্বত্য সাংবাদিক ইউনিয়ন প্রমুখ ।
বরাদ্দকৃত উন্নয়ন খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা তথ্য প্রযুক্তি ১১ কোটি ৬৬ লাখ, যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, ধর্মীয় কার্যক্রম ৯ কোটি ৫২লাখ, সমাজ কল্যাণ ৮ কোটি ১৬ লাখ, স্বাস্থ্যসেবায় ৮ কোটি ১৬ লাখ, কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ ৬ কোটি ১২লাখ, জলবায়ু ১ কোটি ৩৬ লাখ, ক্রীড়া সংস্কৃতি ৬৮ লাখ, ত্রাণ পুনর্বাসন ৬৮ লাখ, ভূমি ও হাট বাজার ৬৮ লাখ, পর্যটন ৬৮ লাখ, বিবিধ ৬৮ লাখ। ২০২২- ২৩ অর্থ বছরে সরকার হতে উন্নয়ন এবং সংস্থাপন ব্যয়,আপদকালীন খাতে প্রাপ্তির প্রত্যাশায় ৮০ কোটি এবং জেলা পরিষদের নিজস্ব খাত হতে ৩ কোটি টাকাসহ মোট ৮৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে, পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, রাঙ্গামাটিতে স্বাস্থ্য খাতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এখন হাসপাতালের ডাক্তারের সংকট নেই। মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা রোগী দেখছেন নিয়মিত। এখন রোগীদের রাঙ্গামাটির বাইরে যেতে হচ্ছে কম। জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। এটির কাজ শেষ হলে স্বাস্থ্য বিভাগের আমূল পরিবর্তন আসবে। এ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন অংসুই প্রু চৌধুরী।
বাজেট ঘোষণায় অংসুই প্রু চৌধুরী আরো বলেন, ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে ১২শত কোটির একটি প্রকল্প জম দেয়া হয়েছে। এই কাজটি করতে পরিষদের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। এর পাশাপাশি লুসাই পাহাড়কে পর্যটন কেন্দ্র করার লক্ষ্যে জেলা পরিষদের অর্থায়নে পাহাড়টি ক্রয় করা হয়েছে। এটি তাদের পরিকল্পনার মধ্যে আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দুই থেকে তিনটি স্থান চিহ্নিত করেছি এবং সেখানেই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
এছাড়া শহরের সুখীনীল গঞ্জে মিনি বোটানিকেল গার্ডেনের মিনি চিরিয়াখানাটি বন্ধ করে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।