ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী গ্রামের বাসিন্দা কানাডিয়ান প্রবাসী মোঃ মতিউর রহমান সস্ত্রীক তাদের ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে ২৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকাসহ ময়মনসিংহের ভালুকা ও গফরগাঁওয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিভ্রমন করে বিকাল অনুমান ৩.৩০ ঘটিকায় গফরগাঁও থানাধীন ঢালিবাড়ী রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় প্রাইভেটকারের গতি কমালে অকস্মাৎ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন ডাকাত তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র সহ আক্রমণ করে এবং অস্ত্রের মুখে তাদের ব্যবহৃত স্বর্ণের চেইন, ব্রেসলেট, আংটি, নগদ টাকা, একাধিক ক্রেডিট কার্ড ও কানাডিয়ান পাসপোর্ট ডাকাতি করে সাদা রংয়ের অন্য একটি প্রাইভেটকার যোগে ভালুকার দিকে পালিয়ে যায়।
তৎক্ষণাৎ অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে গফরগাঁও থানা পুলিশ উক্ত ডাকাত দলকে সনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেন।
অতঃপর ঘটনার মাত্র ছয় ঘন্টার মধ্যে সন্ধ্যায় রাত ৬.০০ ঘটিকায় পাগলা থানা এলাকা হতে উক্ত ডাকাত দলের সদস্য এবং কানাডিয়ান দম্পতির ড্রাইভার মোঃ রিয়াদ খান (২৩)কে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত সদস্যের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর ডাকাত মোঃ মুরাদ মিয়া (২৩)কে গ্রেফতার করা হয় এবং চক্রের অপর সদস্য মোঃ শরীফ এর বাসায় ডাকাতির মালামাল রয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। পরবর্তীতে শরীফের বাসায় অভিযান চালিয়ে রাত্র ৮:৩০ ঘটিকায় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার সহ অন্যান্য সকল চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আসামী মোঃ শরীফ, সোহেল মিয়া ও মোঃ রিফাত-দেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত আছে। সকল আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মোঃ রিয়াদ খান (২৩), পিতা- বিল্লাল হোসেন, গ্রাম-মুখী সোনাতলা, থানা-পাগলা, জেলা-ময়মনসিংহ। এবং মোঃ মুরাদ মিয়া (২৩), পিতা-লিটন মিয়া, গ্রাম-মুখী মধ্যপাড়া, থানা-পাগলা, জেলা-ময়মনসিংহ।
ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার (নম্বরঃ ঢাকা মেট্রো-গ-২৮-১২৪৭) ২। স্বর্ণের হাতের চুড়ি ০১টি ৩। স্বর্ণের ব্রেসলেট ০১টি ৪। স্বর্ণের আংটি ০২টি ৫। স্বর্ণের চেইন ০১টি ৬। নগদ ৪৯,০০০/- টাকা ৭। ০১টি সোনালী ব্যাংকের চেক বই ৮। বিভিন্ন ব্যাংকের ০৬টি এটিএম কার্ড ও ৯। একটি ভ্যানেটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে গফরগাঁও থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-২৯/১০/২০২৪ ইং, ধারা-৩৯৫/৩৯৭/ ৪১২ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে।