বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এ কেমন চাটুকারিতার নজির সৃষ্টি করলেন ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের দু:শাসনের সময়ে ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে যিনি অসংখ্য ছাত্র জনতার ওপর গুলি লাঠিচার্জ সাউন্ড গ্রেনেড বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার বানিজ্য করেছেন, সাবেক এমপি নাজমুল হাসান পাপন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দূর্নীতিবাজ নেতা সেন্টু, শাখাওয়াত আলমগীরদের আস্থাভাজন হয়ে বীরদর্পে গ্রেফতার বানিজ্য, চাঁদাবাজি করেছেন। ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগীতা করেছেন।
সেই ওসি ও তার কয়েকজন দারোগা এখন এ স্বাধীন দূর্নীতি মুক্ত ঘোষণার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সময়ে রাজনৈতিক দল বিএনপি নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে নেতাকে নিজের চেয়ারে বসিয়ে কার বশ্যতা স্বীকার করলেন একটি রাজনৈতিক দলের নাকি অন্তর্বতীকালীন সরকারের এমন প্রশ্নের উদ্রেক সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি ভৈরব কুলিয়ারচরের বিএনপি নেতা শরীফুল আলমকে দেখা যাচ্ছে থানার ওসির চেয়ারে বসে আসামি গ্রেপ্তারের তালিকা দিচ্ছেন আর ওসি সফিকুল ইসলাম জি হুজুর ভাব নিয়ে নিজ চেয়ার ছেড়ে পাশে বসে হুকুম তামিল করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন সংবাদ ভাইরাল হলে ব্যপকভাবে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এক ফ্যাসিবাদী উৎখাতের পর আরেক ফ্যাসিবাদ কায়েমি স্বার্থে পুলিশ ব্যবহৃত হলে ছাত্র জনতার রক্ত ঝরানো গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুত সংস্কার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করছেন ভৈরবের ছাত্র জনতার সচেতন মহল।
ভৈরবে যে পুলিশের নির্দেশে অসহায় ছাত্র জনতা নির্মম ভাবে নিহত আহত আর নির্যাতনের শিকার হতে হলো আজ সেই ওসি নতুন রুপে বহাল তবিয়তে বসে থাকার অপচেষ্টায় নিজ চেয়ার ছেড়ে নেতাকে বসতে দিলেন।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশিং ভূমিকায় বিতর্কীত ওসি সফিকুল ইসলাম জনশৃংঙ্খলা রক্ষার নামে ভৈরব থানা এলাকায় ছাত্র জনতা নিরীহ মানুষকে অতীতের ন্যায় হয়রানি করবে বলে আশংকা করছে সাধারণ জনগণ। আইন শৃঙ্খলার স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষায় ওসি সফিকুল ইসলামের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতন ভৈরববাসী।
এবিষয়ে পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলামকে করা হয়েছে।