খুন, অপহরণ, সড়ক দুর্ঘটনা, ধর্ষণের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। মাদকের নেশা সর্বনাশা। এই সর্বনাশা নেশা আগামী দিনের কর্ণধার তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে এক ভয়াবহ ধ্বংস ও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
দেশের আনাচে-কানাচে অবাধে চলছে মাদকের ব্যবহার। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উচ্চবিত্ত পরিবারের মহিলাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে।
এখন হাত বাড়ালেই গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, সিসা, বাংলা মদ, হেরোইন সহজে পাওয়া যায়। মাদকের ভয়াবহতা কত নিষ্ঠুর কত বেদনাদায়ক হতে পারে তা নিজ আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কেউ নেশাগ্রস্থ থাকলে সহজে অনুধাবন করা যায়।
ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কয়েকটি স্থানে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। কিছু দিন পর পর গ্রেফতার হলেও ফিরে এসেই চলে দেদারসে হেরোইন বাণিজ্য। তার মধ্যে ৪ নং বালিয়ান ইউনিয়নের সারুটিয়া পুকুর পাড় এলাকায় গোলার ছেলে ইউসুফ আলী, তার মেয়ে এবং মেয়ের জামাই বুকুল হেরোইন ব্যবসায় অন্যতম।
একই এলাকার মান্নার ভাই রফিক গাজাঁ ব্যবসা করছে প্রতিনিয়ত। গোপন সংবাদে জানাযায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলীর ২য় ছেলে নেতৃত্বেই চলে এ মাদক ব্যবসা। তিনি নিজেও গাঁজার সাথে আসক্ত।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে ইয়াবা, হেরোইন ও গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক এবং নেশা জাতীয় দ্রব্যের রমরমা ব্যবসা চলছে।
এ কারণে মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের পদচারণায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। একই সাথে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও প্রতিনিয়ত বিরম্বনার শিকার হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, বর্তমান যুব সম্প্রদায়কে রক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে বালিয়ান ইউনিয়নে মাদক আমদানী ও বিক্রি বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এলাকাবাসী মারাত্নক ক্ষতির শিকার হবে।