ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের রাজগঞ্জ (সাহেব কাচারী) বাজার এলাকায় ভয়ংকর খলনায়কের নাম আব্দুল মজিদ। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আশিক এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান ঘরে বসেই গড়ে তুলেছেন অপরাধের স্বর্গরাজ্য।
তিনি একসময় বিএনপি মতাদর্শের থাকলেও বিপুল পরিমাণ হেরোইনসহ গ্রেফতারের পর জামিনে এসে যোগদান করেন ক্ষমতাসীন
আওয়ামী লীগে। এর পরেই নিজেকে আওয়ামী লীগের দাপটে কর্মী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে।
ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদের রাজনৈতিক পরিচয়ের সুত্র ধরেই আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের সাথে পরিচয় লাভ করে। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জেলা/ মহানগরের নেতাদের সাথে চা চক্রকে সাইনবোর্ড হিসেবে কাজে লাগিয়ে বীরদর্পে চালিয়ে যায় অপরাধ প্রবনতা।
মাজারের সিসি ক্যামেরাসহ, ভুমি দখল, জুয়ার আসর, মাদক ব্যবসা, চুরি-ছিনতাই, চাঁদাবাজি সবই তার নিয়ন্ত্রণে।
চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের পাড়া লক্ষীপুর, চর নিকুরিয়া, রাঘবপুর, বিজয় নগর, মহজমপুর এলাকায় তার মুখের কথাই যেন আদালতের রায়। আদালতে আপিল করার সুজুগ থাকলেও তার মুখের কথার উপর আপিল তো দুরের কথা সেটাই যেন সর্বোচ্চ আদালত।
স্থানীয় একাধিক মহল জানান, আওয়ামী লীগের বড় কোন পদে আব্দুল মজিদ না থাকলেও তিনি প্রভাবশালী একজন কর্মী। বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে এলাকায় কায়েম করেছেন ত্রাসের রামরাজত্ব। হত্যা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক, জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে আব্দুল মজিদ বাহিনী এলাকার আতংক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র জানায়, বিপুল পরিমাণ হেরোইন সহ আব্দুল মজিদ আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, সিদ্দিকুর রহমান শাহিনসহ স্থানীয় দুষ্কৃতকারীদের নিয়ে অপরাধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলে কোটি কোটি টাকার মালিক বনেছেন। তার নামে মজিদ বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানীতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে দেশ ত্যাগের পর আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজরা আত্মগোপনে থাকলেও নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে বিএনপি নেতাদের সাথে ভাগবাটোয়ারা ও সমোঝোতার মাধ্যমে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে কলকাটি নেড়ে যাচ্ছেন তিনি।
সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে মজিদ বাহিনীর সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছেন সামাজের সুশীল সমাজ।
বিস্তারিত আরও আসছে…।