কেউ যাতে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ও দাম বেশি নিতে না পারে সে বিষয়ে তদারকি জোরদার করতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক মাঠে নেমেছেন ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত শহিদ পিংকি।
(৩১ শে আগষ্ট) বিকালে তিনি উপজেলার তারাকান্দা বাজার সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে নিয়োজিত ডিলারদের দোকান মনিটরিং করেন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট ডিলার ও সার ব্যবসায়ীদের বলেন, দেশে পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে, কোথাও সারের সংকট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং কেহ যদি সার মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে বা কেউ কেউ গুজব ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংকট তৈরি করলে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় রশিদ ছাড়া যেন সার বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করা, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে লালসালুতে বা ডিজিটালি সারের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখার নির্দেশনা প্রদান সহ ডিলারে গুদাম ভিজিট করে সারের অ্যারাইভাল নিশ্চিত করেন।
সহকারী কমিশনার ভূমি জিন্নাত শহিদ পিংকি বলেন, ডিলাররা যেন বরাদ্দ করা সার যথাসময়ে উত্তোলন করে তা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মনিটরিং জোরদার করা, কোনো কোনো ডিলার বরাদ্দ দেওয়া সার যথাসময়ে উত্তোলন না করার কারণে সার বিক্রির সময় রেশনিং করে থাকেন, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। এর ফলে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের মধ্যে এক ধরনের কৃত্রিম আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। কোনো ডিলার যেন নিয়মবহির্ভূতভাবে সার বিক্রিতে রেশনিং না করতে পারেন, সেজন্য ডিলারদের সতর্ক করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বেশি মূল্যে সার বিক্রির কোনো তথ্য বা সংবাদ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গেই তা রিপোর্ট করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলেও জানান এসিল্যান্ড জিন্নাত শহিদ পিংকি।