শেরপুরের শ্রীবরদীতে বাল্য বিবাহকে লাল কার্ড দেখালো ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী। ২৩ শে জানুয়ারী মঙ্গলবার শ্রীবরদী থানার উদ্যোগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বানিবাইদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহের কুফল বিষয়ক সচেতনতা মুলক আলোচনা সভায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী বাল্য বিবাহকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ও শিশু সংগঠক মনিকার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাল্য বিবাহ,মাদক,জুয়া, ইভটিজিং,প্রতিরোধে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী।
এসময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান দুলাল,সিনিয়র শিক্ষক ইজ্জত আলী,সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা,শিক্ষিকা রুবিনা আক্তার বক্তব্য রাখেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসি কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন,মাদক একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। ধ্বংস হয় মানুষের সুন্দর জীবন। জুয়ার কারনে অনেক পরিবার সর্বশ্রান্ত হয়ে গেছে।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে চরম মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে।মাদক ও জুয়ার বিরোদ্ধে শ্রীবরদী থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোথাও বাল্য বিয়ের খবর পেলে পুলিশকে খবর দিন। আমরা আপনাদের নাম ঠিকানা গোপন রাখবো।সামাজিক ভাবে সবাই আমরা সচেতন হলে শ্রীবরদী কে মাদক ও জুয়া মুক্ত করা যাবে।
ইভটিজিং প্রতিরোধে শ্রীবরদী থানা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। ইভটিজাররা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। কোথাও ইভটিজিং এর খবর পেলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আমরা সবাই কে সাথে নিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাবো।উক্ত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে লাল কাড প্রদর্শন করেন।এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক / শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য,অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি ও গণমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।