সব
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় রয়েছে রেলবস্তি, সারাদেশসহ রংপুরের রেলবস্তিতে বসবাস করছেন হাজার হাজার পরিবার। রেলবস্তিতে রেল অংশে বাউন্ডারী দেয়ার ফলে তারা এখন জেলখানায় না থেকেও কারাগারের শিকলে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করছে পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকেরই দিন কাটাতে হচ্ছে উচ্ছেদ আতঙ্কে।
তাদের মধ্যে রয়েছে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উর্দুভাষী পরিবার। এর মধ্যে রংপুর রেলবস্তির পূর্ব/পশ্চিম বস্তিতে উর্দুভাষী প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারে শিশুসহ প্রায় তিন হাজারের অধীক মানুষের বসবাস।
তারা বসবাস করছেন ঠিকই কিন্তু দিন/রাত টেনশন কাজ করে তাদের মাঝে কখন যে রেল কর্তৃপক্ষ তাদের উচ্ছেদ করছে। উচ্ছেদ করলে তারা কোথায় যাবে কি করবে, সন্তানদের নিয়ে গাছের নিচে ছাড়া বিকল্প দেখছেন না তারা। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদিও বারবার বলেছেন বসবাসের স্থাপনা না দিয়ে কোন পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে না, তারপরও এতো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কে বা কারা?
এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ বারবার বলছেন উচ্ছেদের ব্যপারে আমরা কিছু জানি না, আমাদের কাছে কোন নোটিশ আসে নি।
রেলবস্তির সওকত, ওকিল উদ্দিন, মোকছেদ, মিন্টু, মাহাতাব, পারভীন, গুলশান, শাবানা, রিজিকাসহ কয়েকজন বলেন, আমাদের দিনরাত কাটে উচ্ছেদ আতঙ্কে, এসপিজিআরসির নেতা ও কাউন্সিলর হারুন যদি আমাদের সহযোগীতা না করতো তবে হয়তো আমাদের আজ রাস্তায় থাকতে হতো। তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখার কারণে আমরা এখনো বস্তিতে বসবাস করতে পারছি। আমাদের দাবী একটাই আমরা বসবাসের জন্য আবাসন চাই।
রেলবস্তির ইনচার্জ জনি বলেন, আমাদের এখানে শিশুসহ প্রায় তিনহাজার মানুষ বসবাস করছে, রেলের কিছু অসাধু লোক আমাদের মাঝে সব সময় উচ্ছেদ আতঙ্কে আতঙ্কিত করছে, যার কারণে আমরা চিন্তিত। উচ্ছেদ করলে আমরা এতোগুলোন মানুষ কই যাবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন আমাদের বসবাসের উপযোগী স্থাপনা দিয়ে যাতে উচ্ছেদ করা হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর এসপিজিআরসির কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও উর্দু ভাষীদের মরহুম নেতা নাসিম খানের স্মরণ সভায় সাবেক এলজিইডি মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রধান অতিথি হিসেবে রংপুরে এসে রেলবস্তি পরিদর্শন কালে বলেন আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগেও কথা বলেছি আবারো বলবো যাতে বসবাসের স্থাপনা না দিয়ে একটা মানুষকেও উচ্ছেদ না করা হয়।
আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি বাসযোগ্য স্থাপনা না দিয়ে কোন উচ্ছেদ করা হবে না।
এসপিজিআরসির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও রসিক ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ বলেন, জেলখানায় না থেকেও জেলখানায় বসবাস করছে রংপুরের রেলবস্তিবাসীরা। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে বসবাসের স্থাপনা না দিয়ে একজনকেও উচ্ছেদ করা হবে না। তারপরও এতো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কেনো, উচ্ছেদ করলে এতোগুলা মানুষ কোথায় যাবে। তাই প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি, যাতে বসবাসের স্থাপনা তৈরি করে দেয়া হয়।
মন্তব্য