সব
দ্রুত সময়ে মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপন করছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। আগামী দুই বছরের মধ্যে পাইপালাইন দিয়ে জ্বালানি তেল সরবরাহ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বুধবার ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে মেঘনা ডিপোর রিসিভার টার্মিনাল স্থাপনের কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারের তেলের দাম সমন্বয় করে দাম নির্ধারণের কাজ চলছে। তিনি বলেন, পাইপলাইনে তেল সরবরাহ করা হলে পরিবহন খাতে জ্বালানি তেলের দাম অনেক সাশ্রয়ী হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইপলাইন স্থাপন সম্পন্ন হলে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ সম্পন্ন হবে। এরই মধ্যে পতেঙ্গা থেকে গভীর সমুদ্র বন্দরে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগে বড় মাদার ব্রেসেল থেকে ছোট ছোট লাইটার জাহাজে করে তেল নিয়ে পতেঙ্গাতে আসতো। সেখান থেকে গাড়িতে বা ছোট ছোট জাহাজে করে বিভিন্ন ডিপোতে সরবরাহ করা হতো। মাদার ব্রেসেল বা বড় জাহাজ ১২-১৪ দিন বসে থাকার কারণে ডেমারেজ গুণতে হতো। পাইলাইন স্থাপনের কারণে খরচ কমে আসবে। এছাড়া পাইপালাইনের মাধ্যমে চট্রগ্রাম পতেঙ্গা থেকে গোদনাইল এবং গোদনাইল ডিপো থেকে বিভিন্ন জায়গার সরবরাহ করা হবে। এতে করে তেল পরিবহনে খচর অনেক কমে আসবে। প্রাইজে সেভ হবে।
তিনি আরো বলেন, রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ থেকে পাইপের মধ্যে নতুন বিমানবন্দর পর্যন্ত বিমানের জ্বালানি তেল কুর্মিটোলা ডিপোতে চলে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পাইপলাইনে তেল সরবরাহ জন্য স্কাটার্স সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। পাইপের মধ্যে জ্বালানি তেলের টেম্পারেচারে পরিবর্তন বা কোনো টেম্পারিং হলে টেকনোলজির মাধ্যমে তা মনিংটরিং করা হবে।
তিনি বলেন, পাইসপাইল স্থাপনের কাজ তদারকি করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহনীর ইঞ্জনিয়ারিং কোরের ২৪ ও ৩৪ ফ্রিগেট। বাংলাদেশী ঠিকাদারের মাধ্যমে এই পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলছে। ২০১৬- ২০১৭ সালে এই কাজ শুরু হলেও কোভিডের কারনে দুই বছর কাজ বন্ধ ছিল। যে কারনে নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে। ৪টি জেলার ওপর দিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিপিসি একটি বড় প্রতিষ্ঠান। কিছু প্রশ্ন থাকে। সংসদীয় কমিটি বিসিপি আর্থিক বিষয় নিয়ে একটি প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা বিপিসিকে বলেছি, একটি তৃতীয় অডিট প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ফিন্যানসিয়ালসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি অডিট করানোর জন্য।
তিনি বলেন, আমরা যেহেতু আগামীতে তেলের ওপেন মার্কেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করছি, তাই আমাদের পলিসি লেভেলেও গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন। আগামীতে তেলের দাম নির্ধারণ বছরের শুরুতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পরে মন্ত্রী শিবু মার্কেট এলাকায় তেল সরবরাহেব পাইপলাইনের কাজ ও ফতুল্লার মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো প্রস্তাবিত রিসিভ টার্মিনালের নির্মাণকাজের জায়গা পরিদর্শন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইসহ বিপিসির ও সেনাবাহনীর ইঞ্জনিয়ারিং কোরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
( ফাইল ছবি)
মন্তব্য