সব
রাজধানীর শ্যামলীতে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও একাধিক যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে মাতুয়াইলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় ও এরপরে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন পুলিশ সদস্য বলেন, শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে গাবতলীর দিক থেকে মিছিল নিয়ে আসেন। বেলা সোয়া একটার দিকে তাঁরা শ্যামলী স্কয়ারের উল্টো দিকের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে আগুন দেন। এ সময় কয়েকটি বাস ও প্রাইভেট কার ভাঙচুর করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রুবায়েত ফেরদৌস গণমাধ্যম কে বলেন, আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কারা হামলায় জড়িত সেটি যাচাই-বাছাই চলছে ।
এদিকে মাতুয়াইলে পুলিশ ও বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মাতুয়াইলের মাতৃ সদন হাসপাতালের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে বাস থেকে নেমে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নেভান।
বেলা পৌনে দুইটার দিকে দক্ষিণ মাতুয়াইলের সান্টু ফিলিং স্টেশনের সামনে যাত্রীবাহী আরও একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে বেলা দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বাসটি পাম্প থেকে বের হচ্ছিল। বাসে শুধু চালক ছিলেন। দুজন লোক এসে চালককে বাস থেকে জোর করে নামান। তারপর বাসে আগুন দিয়ে ভিডিও করেন। এরপর একটি মোটরসাইকেল আসে। তিনজন সেই মোটরসাইকেলে চলে যায়।
বাসটির চালক মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘বাজিতপুর থেকে আসছি। গুলিস্তান যাত্রী নামাইছি। এখানে আমরা সব সময় তেল নিই, তাই আসছি। গাড়িটা ব্যাক দিয়া সোজা করতে লইছিলাম। এ সময় হোন্ডা লইয়া তিনজন লোক আসল। দুজন গাড়িতে উঠল। তারা বলল, নামবি নাকি তর ওপরে প্যাট্রল মারমু। আমি স্টার্ট বন্ধ কইরা দিছি। লাফ দিয়া পইড়া গেছি। ওরা আগুন লাগাই দিয়া বাইকে করে চলে গেছে।এ সময় পুলিশ পাঁচ-ছয় হাত দূরেই ছিল। দুই পাশেই পুলিশ ছিল।
মন্তব্য