সব
রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আদনান সাঈদ রাকিবকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-রমনা বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ ইকবাল, মোঃ সুমন ওরফে কালু সুমন ওরফে ছোট সুমন ও মোঃ সুমন ভূঁইয়া ওরফে বড় সুমন। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, অটোরিকশা ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, গত ১৬ জুলাই রাত সাড়ে নয়টায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আদনান সাঈদ রাকিব ও তার বন্ধু রাইয়ান কলাবাগানে গ্রীনরোডের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা হতে বের হয়ে ধানমন্ডিতে রবীন্দ্র সরোবরে চা খাওয়ার জন্য যায়। চা খেয়ে বাসায় ফেরার পথে রাত ১০:৫৫টায় মিরপুর রোড সংলগ্ন শেখ জামাল মাঠের পূর্বপাশে নার্সারীর সামনে ৪ জন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ দিতে বলে। রাইয়ান তার মোবাইল ফোন দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আদনান মোবাইল ফোন দিতে অনীহা প্রকাশ করলে ছিনতাইকারীরা চাকু দিয়ে গুরুতর আঘাত করে ২টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, গুরুতর জখমপ্রাপ্ত আদনান রাস্তা পার হয়ে পূর্ব পাশে গ্রীন রোড স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে রাস্তায় পড়ে যায়। সেখানকার পরিচিত এক ব্যক্তি আদনানের বাবা ও বড় ভাইকে খবর দেন। তার বড় ভাই, তার বন্ধু এবং ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আদনানের বাবা ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা করেন।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর হতে ডিবি-রমনা বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন মাধ্যমে সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশা এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য