সব
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় সখুয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম (কাউসার) পূর্বের সকল তথ্য গোপন করে একই উপজেলার মরিচার চর গ্রামের সুলতান উদ্দিনের মেয়ে সানজিদার সাথে বিগত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে সামাজিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন।
বিয়ের দুই বৎসর পর তাদের মাঝে পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। শিশু সন্তানের বয়স যখন ১৪দিন তখনি জহিরুল ইসলামের মনের ভিতর অর্থের লোভ জাগ্রত হয়। জহিরুল ইসলাম সুকৌশলে তার স্ত্রী’র উপর অমানুষিক নির্যাতনের পথ বেঁছে নেন এবং নির্যাতনের এক পর্যায় জহিরুল ইসলাম সুকৌশলে আত্মগোপনে চলে যান। নির্যাতন সহায় করতে না পেরে ১৯ দিনের শিশু সন্তানসহ সানজিদা আক্তার তার পিত্রালয়ে চলে যান।
পরবর্তীতে পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ স্থাপন হলে জহিরুল ইসলাম সুকৌশলে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
নির্যাতন ও যৌতুকের থাবা থেকে রেহাই পেতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ জহিরুল ইসলামের চাকুরীস্থল কালান্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা চান সানজিদা আক্তার।
এলাকাবাসী সানজিদা আক্তারের শিশু সন্তান করুন পরিনতি দেখে জহিরুল ইসলামের পূর্বেকার পৈশাচিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তুলে ধরেন।
জানা যায়, সানজিদা আক্তারকে বিয়ে করার পূর্বেও অন্য একজন নারীকে নিয়ে চলাফেরা করতেন।
জনশ্রুতি রয়েছে, ঐ নারীকেও তিনি বিয়ে করেছিলেন, এবং কৌশল অবলম্বন করে ঐ নারীকেও তাড়িয়ে দিয়েছেন। ধর্মের লেবাসধারী জহিরুল ইসলাম ইন্টারনেট তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে একাধিক নারীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে সর্বস্ব হারিয়েছে। আরেকজন নারী তার প্রতারণাকে শক্তহাতে মোকাবেলা করে জহিরুল ইসলামকে বিয়ে করতে বাধ্য করেন।
চরিত্রহীন লম্পট জহিরুল ইসলাম ঐ নারীকে বিয়ে করেন এবং যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় ৬ মাসের শিশু সন্তানের জননী সানজিদা আক্তারকে তালাকের প্রথম নোটিশ প্রেরন করেন।
এব্যপারে সানজিদা আক্তার ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিচার প্রার্থনা করেন। মামলা নং-৮১/২০২৩ইং।
মন্তব্য