সব
আদিকালের চিরহরিৎ অরণ্যে ভরা নওগাঁ জেলার বর্তমান কৃষি প্রধান। এই অঞ্চলের প্রায় মাঝে অবস্থিত নওগাঁ জেলা। নওগাঁ জেলার আয়তন ৩,৪৩৫,৬৭ কিলো মিটার, লোক সংখ্যা প্রায় ২৫ লক্ষ যায় অধিকাংশই কৃষক। এর প্রায় ৮০% আবাদি জমি, বাঁকী ভর অঞ্চলের ২০% জমি যা মৎস চাষে উপযোগী। এই অঞ্চলের মাটি খুবই উর্বর যা দোঁ’আশ নামে পরিচিত। একসময় (পাল ও সুলতানি আমলে) কার্পাশ তুলার চাষ হতো। এই তুলার তৈরী গঙ্গাজলী নামে এক প্রকার শাড়ি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হতো। উইরোপের বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা ছিল। এই জেলার উৎপাদিত ফসলের মধ্যে ধানই প্রধান। এছাড়া পাট, গম, সরিসা, আখ, ভুট্রা, আলু, বেগুন, রশুন, পেয়াজ উৎপাদন হয়। বর্তমানে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের সর্বাধিক সু’স্বাদু ফল ফলের রাজা আম। সম্প্রতি চাষিরা আবাদে ঝুকলেও গড় ধান উৎপাদন হিসাবে এখন বাংদেশের প্রধান জেলা নওগাঁ।
২০০৯/২০১০ বর্ষে এই জেলায় মোট ধান উৎপাদন ছিলো ১৩৫৮৪৩২ মেট্রিকটন। উক্ত ধানের সাথে আরোও ৮২৬৮৩৫ মেট্রিকটন ধান উদ্বৃত্ত। তাইতো বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষ ধান উৎপাদন জেলা নওগাঁ। এছাড়াও বাংলাদেশের সর্বাধিক ধান প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল (চাতাল/বয়লার) রয়েছে নওগাঁ জেলায়। হাপুনিয়া, চকগরি, নওহাটা, মহাদেবপুর ও পত্নিতলায় বিপুল পরিমাণের এসকল চাউল কল দেখা যায়। বর্তৃানে এসি আই কোম্পানি মহাদেবপুরে উন্নত মানের চাল প্রক্রিয়াজাতকরণ শুরু করেছে এবং নওগাঁর উন্নত মানের চাল এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ধানের জেলা নওগাঁ বাংলাদেশের খাদ্য ভান্ডার নওগাঁ বাসীর গর্ভ।
লেখকঃ প্রভাষক আব্দুর রাজজাক (রাজু)
মন্তব্য