সব
নওগাঁর ধামইরহাটে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকরা। ধানের চারা রোপনের জন্য জমি চাষ করে চারা রোপনে উপযোগী করতে কৃষকরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন। নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। এদিকে বাজারে ডিজেল ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান উৎপাদনে বিঘা প্রতি দেড় থেকে দু’হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌফিক আল জুবায়ের জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৮ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার উপজেলা জুড়ে রাশিয়ান জিরা, মোয়াজ্জেম জিরা, কাটারিসহ ১৭ জাতের ধানের চারা রোপন করতে দেখা গেছে। আজ পর্যন্ত উপজেলায় ৪২৫ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে।
কৃষকরা জানান, বাজারে আমন ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এ বছর আমন ধানের ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি বাজারে দামও বেশি পেয়েছেন চাষিরা। ফলে ইরি-বোরো ধান চাষে চরম আগ্রহ দেখা গেছে কৃষকদের মাঝে।
উপজেলার অনেক কৃষকই জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ধানের দাম ভালো পাওয়া গেছে। তাই কৃষকদের মাঝে ইরি-বোরো ধান চাষে চরম উৎসাহ-উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যায়।
অপরদিকে তারা আবার জানান, ডিজেল ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের ধান চাষে বিঘা প্রতি দেড় থেকে দু’হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। এসবের দাম স্বাভাবিক থাকলে ধান চাষে অধিক লাভবান হবেন বলে এমনটাই আশা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। এবার চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হবে বলে।
মন্তব্য